ফেরত আসা কর্মীদের প্রত্যাবাসনে পিপিপি প্ল্যাটফর্মের স্ট্র্যাটেজিক কর্মশালা

ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের প্রত্যাবাসনে গঠিত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্ল্যাটফর্মের স্ট্র্যাটেজিক কর্মশালার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি) পরিচালিত পিপিপি প্ল্যাটফর্মটির আওতায় এই স্ট্র্যাটেজিক কর্মশালাটি ছিলে কর্মশালার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত এ কার্যক্রমের অর্থায়ন করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ), ইউরোপিয়ান রিটার্ন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন নেটওয়ার্ক। এই প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক উদ্দেশ্য প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান এবং পরামর্শ দেওয়া।

এ কর্মশালার আয়োজকরা পিপিপি প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত সরকারি, বেসরকারি সংস্থা; কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তা এবং বাণিজ্য সংস্থাসমূহের ভূমিকা তুলে ধরেন। প্রত্যাবাসন বিষয়ক অন্যান্য দেশের গৃহীত পদক্ষেপ এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধাপসমূহের আলোকপাত করেন আইসিএমপিডি’র ‍সিনিয়র প্রোজেক্ট ম্যানেজার গোলডা মাইরা রোমা।

অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিবেচনাধীন প্রত্যাবাসন নীতিমালা ও এর অন্তর্ভুক্ত উপাদনসমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. নাশিদ রিজওয়ানা মনির। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন আইসিএমপিডি বাংলাদেশে অফিসের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটোর মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন।

আইসিএমপিডি জানায়, বর্তমানে এ প্ল্যাটফর্মে মোট ৩০টির অধিক সংস্থা ‍যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১০টি সরকারি সংস্থা (পাঁচটি মন্ত্রণালয়), ইউএন অর্গানাইজেশন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, বি.এম.ই.টি, দুটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, পাঁচটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সাতটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ স্ট্র্যাটেজিক কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডাররা।