পাউবো’র যান্ত্রিক সরঞ্জাম পরিদফতরে ৭৭ শতাংশ পদই খালি

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) যান্ত্রিক সরঞ্জাম পরিদফতরে ৩৭৬টি পদের মধ্যে ২৯০টিই শূন্য। অর্থাৎ ৭৭ শতাংশ পদই খালি পড়ে আছে। বর্তমানে এ পরিদফতরে কর্মরত মাত্র ৮৬ জন।

জানা গেছে, যান্ত্রিক সরঞ্জাম পরিদফতরে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা দুই হাজার ১৮৪ জন, কিন্তু  এটি পুনর্গঠনের পর পদ কমে গিয়ে ৩৭৬টিতে  দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বৈঠকে  যান্ত্রিক সরঞ্জাম পরিদফতরর প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল ওয়াহাব জানান, শূন্য পদে নিয়োগ ও পদায়ন অত্যন্ত জরুরি। পরিদফতরের অবকাঠামো এবং ওয়ার্কশপগুলো প্রায় ৬০ বছরের পুরনো হওয়ায় অনেকগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলো অধিদফতর না হওয়ায় কর্মকর্তারা চাকরি ছেড়ে চলে যান। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বাপাউবো’কে অধিদফতর করার প্রস্তাব দেওয়া হলে এটি ফেরৎ দেওয়া হয়। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি থেকে একটি সুপারিশ করলে পুনরায় প্রস্তাবটি পাঠানো যায়।’

কমিটির সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী এমপি বলেন, ‘যান্ত্রিক সরঞ্জাম পরিদপতরের জন্য আধুনিক যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি কিনে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে হবে। জনবল না থাকলে যন্ত্রগুলো চালানো সম্ভব হবে না।’

হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডে বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই জনবল নিয়োগ দেওয়া উচিত। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি ও দক্ষতা অধিক। কিন্তু  দু’টিতেই কর্মকর্তারা নন-ক্যাডার হওয়ায় থাকতে চান না। বিসিএস ক্যাডার হয়ে অন্য দফতরে চলে যান।’ তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড বিসিএস ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন এবং পাউবোকে অধিদফতরে রূপান্তরিত করার সুপারিশ করেন।

উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘অন্যান্য দফতরের তুলনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের অধিক পরিশ্রম করতে হয়। দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে রাতে ও দিনে সব সময় কাজ করতে হয়।’ তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অধিদফতরে রূপান্তরের সুপারিশ করার অনুরোধ জানান।

জাতীয় সংসদ থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ি উপজেলাধীন ধরলা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রনসহ বাম ও ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বর্তমান অবস্থার প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। কমিটি নদীর গতিপথ আকাঁবাকা না রেখে সোজা করার সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে  কমিটির সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং নুরুন্নবী চৌধুরী অংশ নেন।