‘যুদ্ধাপরাধীদের পূর্ণাঙ্গ বিচার না হওয়ায় প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি মাঝে-মাঝেই মাথাচাড়া দেয়’

রাজাকার, আল বদর, আল শামসসহ যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত সবার পূর্ণাঙ্গ বিচার না হওয়ায় প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি এখনও মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।             

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘রাজাকার, আল বদর, আল শামসসহ যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত সকলের পূর্ণাঙ্গ বিচার সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা লক্ষ্য করি— প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং তারা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুতরাং পরিপূর্ণভাবে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করার মাধ্যমে এই বাংলাদেশ থেকে আমরা তাদেরকে পরিপূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারবো।’

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসায় বর্তমানে জাতির দাবি উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের মধ্যে যারা মূল হোতা ছিল; সেসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে পেরেছি। তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। কিন্তু যারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে সেসব রাজাকার, আলবদর, আলশামস এখনও সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে আছে। সুতরাং এই বিচার কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন হয়নি। যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনাটাই এখন জাতির দাবি।’

একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর শাহাদাতবরণকারী সব শহীদ বুদ্ধিজীবীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘বাঙালি জাতির বিজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করতে, বুদ্ধিজীবীদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

এর আগে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে ব্যারিস্টার শেখ তাপস পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহকারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।