ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষে জাতির জনকের হাতে অস্ত্র সমর্পণের পর কথা ছিল দেশ গড়তে মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগানো হবে। যে কোনও সময় দেশের কাজে মুক্তিযোদ্ধাদের ডাক পড়বে। বিগত ৫০ বছরেও সেই পরীক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ গড়ার কাজে ডাকা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের উদ্যোগে শাহবাগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য পঙ্কজ ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এখনও যেসব দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে আছেন, দেশের পুনর্গঠনে তাদের কাজে লাগাতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা সেই ডাকের অপেক্ষায় রয়েছেন।’
‘সুবর্ণজয়ন্তীর পথ ধরে সম্প্রীতির স্বদেশ নিশ্চিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মূলধারা হলো— বৈষম্য, শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, আজকে সেই চেতনায় গণতান্ত্রিক রাজনীতিক, সামাজিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। দুর্নীতির মূল উৎপাটন, সাম্প্রদায়িকতার কবর রচনার তাগিদে আসুন আবার ঐক্যবদ্ধ হই।’ বলেন পঙ্কজ।
সভাপতির বক্তব্যে পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মূলত মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এখনও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকেই খুনি মোস্তাকের নেতৃত্বে আরও একটি সরকার ছিল, যারা মূলত পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করেনি।’
তিনি বলেন, ‘তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। এরাই বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়ক, এরা সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। দেশে সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিয়ে সর্বদা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে চলেছে এরা। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ’
আলোচনায় অংশ নেন— সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য জয়ন্তী রায়, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সামছি, জহিরুল ইসলাম জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অলক দাশগুপ্ত, কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ঢাকা মহানগর নেতা জুবায়ের আলম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে আজাদ।