শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি

বদলি হওয়া কালচারাল অফিসারদের এলাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আদেশে বদলি হওয়া আটজন কালচারাল অফিসারের মধ্যে ছয়জনই নতুন কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে ছিল অসন্তোষ। অভিযোগ ছিল, এ ছয়জন একাডেমির ‘স্বেচ্ছাচারী’ আদেশ বলে ঢাকায় রয়ে যান। একাডেমির পরিষদের গত এপ্রিলের সভায় তাদের বিষয়ে আলাপ হলেও তারা যাননি। সকল সমালোচনার নিরসন ঘটিয়ে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) পরিষদের সভায় তাদের প্রত্যেককে যার যার বদলি স্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের যাওয়ার জন্য যে জনবল সংকট দেখা দেবে সেটা মন্ত্রণালয় দেখবে বলেও জানানো হয়।

যে কর্মকর্তাদের যেতে হবে তারা হলেন—বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অর্থ হিসাব ও পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম; সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের সহকারী পরিচালক খন্দকার ফারহানা রহমান; নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক (সিনেমাটোগ্রাফি) চাকলাদার মোস্তফা আল মাহমুদ; অর্থ ও পরিকল্পনা বিভাগের অ্যাকাউন্ট অফিসার মো. আল হেলাল; প্রশাসন বিভাগের কালচারাল অফিসার আসফ উদ-দৌলা এবং প্রশাসন বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ।

যে দু’জন নির্দেশনা মেনে যোগ দিয়েছিলেন তারা হলেন—প্রশাসন বিভাগের সহকারী সচিব আফসানা খান জুনা এবং নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের লাইট ডিজাইনার মোহাম্মদ এরশাদ হাসান।

গত ২৪ জুন আটজন কালচারাল অফিসারকে জেলায় বদলির আদেশ দেয় মন্ত্রণালয়। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় থেকে বদলির আদেশ দিতে পারে না দাবি করে ওই আট কর্মকর্তার পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী আবদুল মতিন সরকার।

মন্ত্রণালয়ের বদলির আদেশ বাতিল করে ৩০ জুন ওই কর্মকর্তাদের নিজ পদে বহাল থাকার আদেশ দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত পরিষদ সদস্য সূত্রে জানা যায়, কীভাবে একটা মন্ত্রণালয়ের আদেশকে মহাপরিচালক স্থগিত করেন সেটি জানতে চাওয়া হয়। বদলির আদেশ বাস্তবায়ন করতেও বলা হয়। এই দিন সভায় বিভিন্ন সময় পরিষদকে অমান্য করায় শিল্পকলা মহাপরিচালকের সমালোচনা করা হলে তিনি বলেন, ‘পদ্ধতিগতভাবে ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’