বিমানবন্দরে দায়িত্বে অবহেলা করলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরতদের মধ্যে যারাই দায়িত্বে অবহেলা করবে তাদের তালিকা তৈরি করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিমানবন্দরের ব্যাগেজ এরিয়া, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন, আরটি-পিসিআর এর জন্য নির্ধারিত এলাকাসহ বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে তিনি বিমানবন্দরের আগত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রীসেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ আছে কিনা তাও জানতে চান।

যাত্রীদের ট্রলির তথ্য প্রদান করার জন্য প্রতিমন্ত্রী ব্যাগেজ এরিয়ার প্রত্যেকটি বেল্টে একজন করে ট্রলিম্যানকে দায়িত্বে রাখার জন্য বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালককে নির্দেশনা দেন। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে কর্মরতদের দ্রুত এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দ্রুত সেবা প্রদান করার নির্দেশনা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনওভাবেই সেবা ব্যাহত করা যাবে না বা কাজ বন্ধ রাখা যাবে না।  যাত্রীসেবার মান নিশ্চিতের জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থার লোকজনকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

বিমানবন্দরে পরিদর্শনে মাহবুব আলী

বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রানজিট যাত্রীদের কাস্টমস চেকিংয়ে সময় বেশি লাগায় বিভিন্ন ফ্লাইট ডিলে হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিট যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাস্টমস চেকিং সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা ডেস্ক এবং কিউ এর ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময়ে কাস্টমসের জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করা হলে প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

যাত্রী হয়রানি রোধে এবং পরীক্ষার ক্রম ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আরটিপিসিআর-এর জন্য নির্ধারিত এলাকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কিউ কিওস্ক বসানোর জন্য দায়িত্বরতদের নির্দেশনা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত এলাকায় স্থাপিত দোকানগুলোর খাবারের মান এবং দাম সম্পর্কে খোঁজ নেন। যাত্রীদের কোনওভাবে প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সাবধান করেন তিনি।

বিমানবন্দরে পরিদর্শনে মাহবুব আলী

চেক-ইন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিমানের কর্মকর্তারা যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করেন কিনা সে ব্যাপারে নিয়মিত এয়ারলাইন্সগুলো থেকে তথ্য নেওয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।  তিনি বলেন, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে বা দায়িত্বে অবহেলা করে তবে  চরম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিরাপত্তা) আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফি, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান প্রমুখ।