দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা: আতিকুল ইসলাম

কিউলেক্স মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে কারও বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর রূপনগর এলাকায় কিউলেক্স মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ৬ দিনব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ হুঁশিয়ারি দেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘কার‌ও একার পক্ষে মশা দূর করা সম্ভব নয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে হবে। নিজেদের সুস্থতার জন্যই লজ্জা পরিহার করে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কাজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতা ভোগ করার জন্য নয়, নগর পিতা হিসেবেও নয়, নগরবাসীর সেবক হিসেবেই কাজ করে যেতে চাই। তাই স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজউক অনুমোদিত নকশা মোতাবেক নির্ধারিত জায়গাতেই কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক ও খেলার মাঠ করা হবে, এর কোনও ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না। অপরিকল্পিত ঢাকাকে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে— সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করতে হবে।’

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ইতোমধ্যে চিহ্নিত কিউলেক্স মশার ৯২৫টি হটস্পটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই ডিএনসিসি বহির্ভূত রাজউক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দফতরের আওতাভুক্ত। তাই আমি বলবো— সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কিংবা ব্যক্তিগত সকলকেই মশক নিধনে এগিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মো. তফাজ্জল হোসেন টেনু উপস্থিত ছিলেন।