থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে ডিএমপির যত নির্দেশনা

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ৩১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান ও পটকা বা আতশবাজি না ফোটানোর নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে নববর্ষ উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা জানান ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৩১ ডিসেম্বর রাতে পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালনোসহ যেকোনও ধরনের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির যেকোনও ধরনের আশঙ্কা রোধকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বদ্ধপরিকর। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে নিম্নোক্ত নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।’

ডিএমপির নির্দেশনা হচ্ছে—

১. ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনও ধরনের জমায়েত/সমাবেশ/উৎসব করা যাবে না।

২. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোন ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।

৩. কোথাও কোনও ধরনের আতশবাজি/পটকা ফোটানো যাবে না।

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাত ১০টার পর বহিরাগত কোনও ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।

৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকার প্রত্যাবর্তন করবেন এবং রাত ৮টার পর প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

৬. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত  নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলি ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।

৭. একইভাবে উপযুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলো।

৮. হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনও সমাবেশ অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোন যানবাহন থামিয়ে, অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।

৯. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদেরকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

১০. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনও বার খোলা রাখা যাবে না।

১১. সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।

১২. ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হলো।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এই নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পুলিশি সাহায্যের জন্য ডায়াল করুন: ৯৯৯ অথবা লগ ইন করুন— www.dmp.gov.bd ও তথ্যের জন্য ডিএমপি মিডিয়া সেল ০১৩২০০৩৮০৩৫,০১৩২০০৩৮০৩৬, ইমেইল ও dmpmediacell@gmail.com