রূপালী ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট 

রূপালী ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে এই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি বন্ধকি দেখিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঋণের নামে আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অভিযুক্তরা হলেন- রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফরিদ উদ্দিন, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা কাজী মো. নেয়ামত উল্লাহ, রূপালী সদন করপোরেট শাখার সাবেক প্রধান মো. সিরাজ উদ্দিন, একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও বর্তমানে হোম লোন শাখার উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. কামাল উদ্দিন, শিল্প ঋণ বিভাগের সাবেক ডিজিএম (চলতি দায়িত্ব) সৈয়দ আবুল মনসুর এবং একই বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও বর্তমানে স্থানীয় কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবু নাছের মো. রিয়াজুল হক। 

রূপালী ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা ছাড়াও চার্জশিটে মতিঝিল এলাকার এইচ আর স্পিনিং মিলস (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহিন রহমান ও পরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের নাম রয়েছে। 

দুদক সূত্র জানায়, চার্জশিটে বলা হয়েছে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক একে অন্যের সহযোগিতায় প্রতারণাপূর্বক অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি বন্ধকী দলিলের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক লি. এর মেয়াদি প্রকল্প ঋণের বিপরীতে বন্ধক প্রদানসহ রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের শিল্প ঋণ বিভাগ এইচ আর স্পিনিং মিলস প্রাইভেট লিমিটেডকে দুই দফায় ৯৬ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করে। এর মধ্যে ছাড়কৃত ৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা (যার মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত আরোপিত সুদ ৯০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা) অনুমোদন, বিতরণ ও উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্তরা। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম এ সংক্রান্তে দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত শেষে চার্জশিটের জন্য কমিশনে জমা দেন।