শিল্পকলায় অনিয়ম: রেকর্ডপত্র চেয়ে ডিজিকে দুদকের চিঠি

অর্থপাচার ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য রেকর্ডপত্র চেয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকীর কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম এই চিঠি পাঠান। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।

এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়াকে সদস্য করে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে লিয়াকত আলী লাকীর কাছে কিছু রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকাতে বরাদ্দকৃত বাজেট এবং ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকাতে বরাদ্দকৃত বাজেট এবং ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমির অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা ৩০ জুন ২০২১ তারিখে ব্যয়করণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র।

এছাড়া একই অর্থ বছরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপিও চাওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, লিয়াকত আলী লাকীর কাছে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন ভাউচার, ক্যাশ বই এবং শিল্পকলা একাডেমি নামীয় সোনালী ব্যাংক, সেগুনবাগিচা শাখা, ঢাকা থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপিও চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অনুসন্ধানের প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্রাদি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।