ঘুষগ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দু’টি ধারায় পার্থ গোপাল খালাস

অনিয়ম, দুর্নীতি ও অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের ঘুষগ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দু’টি ধারায় খালাস দিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে দু’টি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাসের এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় ও  দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় পার্থর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বিধায় আদালত খালাসের এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে এদিন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এর ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় পাঁচ বছর এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। ধারায় দু‘টির সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ের আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। অর্থাৎ তার সাজা চলবে মোট ৫ বছর।

এর আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (৯ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন।

২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। ওইদিন বিকালেই ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এরপরই তাকে আটক করা হয়।

পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।