ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। রবিবার (৯ জানুয়ারি) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি উপাচার্য বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে কী বেরিয়ে এসেছে সে বিষয়টি নিয়ে কমিটির কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী। গত ১৩ ডিসেম্বর সেই শিক্ষার্থী উপাচার্য বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দিলে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের ডিন সাদেকা হালিমকে আহ্বায়ক করে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ড’ করতে একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর অভিযুক্ত শিক্ষককে ওই বর্ষের সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা মারিয়া হোসেনের কাছে প্রতিবেদন বিষয়ে কোনও তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখন উচ্চ পর্যায়ে আছে, তথ্য সেখান থেকে নিতে হবে।’ বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় তিনি আর কোনও কথা বলতে চাননি।

কমিটির তদন্তে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ে কী বের হলো- জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও ওই বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকা সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে বাইরে কথা বললে কমিটির আহ্বায়ক বলবেন, আমরা বলতে চাই না। তবে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। এরপরে এটি হয়তো সিন্ডিকেটে যাবে, সেখানে তদন্ত কমিটি গঠন হবে। 

তবে কমিটির আহ্বায়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম কোভিড আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, এটি কোনও তদন্ত না। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে আহ্বায়ক করে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। তারা প্রাথমিক প্রতিবেদন দিয়েছে। আমি এখনও দেখিনি।

এর পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখনও দেখিনি সেখানে কী আছে। দেখে তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে বোঝা যাবে।