চোর সন্দেহে আটকের পর গলায় রশি পেঁচানোয় মৃত্যু হয় তার

রাজধানীর মিরপুরের সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম রুবেল মিয়া। এ ঘটনায় গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) আব্দুল জলিল ও আবদুল মান্নান নামে দুই ব্যক্তিকে গাজীপুরের শ্রীপুর এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে হত্যাকাণ্ডের রহস্য।IMG-20220116-WA0006(1)

রবিবার (১৬ জানুয়ারি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল জলিল ও আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আব্দুল জলিল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, গত ৯ জানুয়ারি বিকাল অনুমান ৪টায় ভিকটিমকে সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে সন্দেহবশত চোর ভেবে আটক করে। তারা এর আগে চুরি যাওয়া মোবাইল ও টাকা উদ্ধারের জন্য ভিকটিমের হাত রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং একই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এর ফলে ভিকটিমের মৃত্যু হলে গ্রেফতারকৃতরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

গত ৫ জানুয়ারি সকালে ভিকটিম রুবেল মিয়া লালমনিরহাট সদর এলাকা হতে নিখোঁজ হয়। পরে ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় দারুস সালাম থানার সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ৫ম তলার ৮১৬নং কক্ষ থেকে ভিকটিমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের চাচা ১৪ জানুয়ারি দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।