৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হত্যা, একজনের ফাঁসির আদেশ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মীরেরবাগ বালুচর ওরিয়েন্টাল স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ইয়াসিন মাহমুদ শাহিনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।পাশাপাশি শাহিনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া ২০১ ধারায় তাকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় শাহীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহাগ স্কুল থেকে এসে তার মা সুফি বেগমের মোবাইল নিয়ে গেমস খেলতে খেলতে বাসার বাইরে যায়। এসময় কৌশলে শাহীন ভিকটিম সোহাগকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সোহাগের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সে। এক ঘণ্টার মধ্যে টাকা না দিলে সোহাগকে মেরে ফেলার হুমকি দেন শাহিন।

সোহাগের পরিবার বিষয়টি র‌্যাবকে জানায়। র‌্যাব বিষয়টি থানাকে জানাতে বলে। এরই মাঝে আরও ২/৩ বার টাকা চেয়ে ফোন দেয় শাহিন। পরে থানা পুলিশ মোবাইল টেকনোলজির সহায়তায় শাহিনকে মীরেরবাগ বালুর মাঠ থেকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিতে বাসা থেকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাত, নাক, মুখ, স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা সোহাগকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সোহাগের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন । মামলাটি তদন্ত করে শাহিন এবং তার বন্ধু সাজ্জাদ আহমেদ নিশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আশরাফুল আলম। এরপর সাজ্জাদকে অব্যাহতি দিয়ে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।