কখনও দুদক, কখনও বিআরটিএ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা

কখনও দুদক কর্মকর্তা, কখনও বিআরটিএ কর্মকর্তা, কখনও ডাক্তার, আবার কখনও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করে আসছিল হাফিজুল ইসলাম।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়া এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।

এ সময় তার কাছ থেকে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া ১২টি ভিজিটিং কার্ড, পিপলস ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড কনসেনট্রেটেড ল্যাব রিপোর্ট সরবরাহের খালি ৮০টি খাম, ৪৫টি প্যাড, দুর্নীতি দমন কমিশনের লোগো, লোগোর জলছাপ সংবলিত লিগ্যাল নোটিশের খালি প্যাডের পাতা, বিআরটিএ’র অস্থায়ী অনুমতিপত্রের খালি ফরম, বিভিন্ন টেলিভিশনের ১৮টি স্টিকার। এছাড়া ছবিযুক্ত দুদক, রাজউক, বিআরটিএ কর্মকর্তার আইডি কার্ডও পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফউল্লাহ বলেন, গ্রেফতার আসামি ডেমরা থানার কোনাপাড়া শফিকের কম্পিউটারের দোকানসহ দৈনিক বাংলা মোড় এলাকার বিভিন্ন প্রেস থেকে জব্দকৃত আইডি কার্ড, স্টিকার, সিলমোহর, মেডিক্যাল রিপোর্টগুলো টাকার বিনিময়ে তৈরি করে। সে প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে। সেই সঙ্গে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার তৈরি করে। এছাড়া, নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট তৈরির জন্য বিদেশগামী বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার সহযোগী হিসেবে কারা ছিল তা তদন্ত করে বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।