পিএইচডি থিসিস জালিয়াতি রোধে কমিটি গঠনের তথ্য হাইকোর্টে

সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায় থিসিস জালিয়াতি রোধে পদক্ষেপ নিতে দুটি কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান (লিংকন)। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন করা হয়, তা অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইউজিসিকে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এ ছাড়াও একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘটনার তদন্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।

পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা গবেষকদের পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রি অর্জনে জালিয়াতিরোধে থিসিসের প্রস্তাব চূড়ান্ত করার আগে আইসিটি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের মাধ্যমে থিসিস প্রস্তাব যাচাইয়ে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “৯৮ শতাংশ হুবহু নকল পিএইচডি থিসিসের মাধ্যমে ২০১৫ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। ২০১২ সালে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেওয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর সঙ্গে লুৎফুল কবীরের নিবন্ধের ৯৮ শতাংশ হুবহু মিল রয়েছে। এটিসহ মোট ১৭টি জার্নাল, আর্টিকেল ও গবেষণাপত্রের সঙ্গে নিবন্ধটির বিভিন্ন অংশের উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া গেছে, যেগুলোর সবই লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভের (থিসিসে) আগে প্রকাশিত।”

প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে একই বছরের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান। রিটে পিএইচডি গবেষণা থিসিস অনুমোদনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র (এনওসি) নেওয়ার বিধান করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।