রাত পোহালেই ২১৮ ইউপিতে ভোট

করোনা ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সোমবার ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের  ২২ জেলার ৪২ উপজেলার ২১৮টি  ইউপিতে ভোট হবে।  সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। করোনার মধ্যে ভোট অনুষ্ঠানে ইসির পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

এ ধাপের ২১৮ ইউপির মধ্যে ২১৬টিতেই ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট হবে। মাত্র ২টি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। একইসঙ্গে এতগুলো ইউপিতে ইভিএমে ভোট আগে হয়নি। নির্বাচন গ্রহণে সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যেই ইভিএমসহ অন্যান্য নির্বাচন সামগ্রী থানায় থানায় পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান বলেন, ষষ্ঠ ধাপের ২১৮ ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

ইসি সূত্র জানায়, এই নির্বাচনে ভোটার রয়েছে ৪১ লাখ ৮২ হাজার ২৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২১ লাখ ১৪ হাজার ৭২০ জন, নারী ২০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ জন এবং ৬ জন হিজড়া ভোটার। এসব ভোটার ২ হাজার ১৮৬টি কেন্দ্রের ১৩ হাজার ৩০৫টি কক্ষে ভোট প্রদান করবেন।  নির্বাচনে সারাদেশে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ হাজার ৬০৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ১৯৯, সংরক্ষিত আসনে ২ হাজার ৫৫৯ জন এবং  সাধারণ সদস্য পদে ৭ হাজার ৮৪৬ জন।

ইসি সূত্র জানায়, ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে ইসি। ইতিমধ্যে ভোটার সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ষষ্ঠ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে ১৪৪ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১০০ প্রার্থী ।

ইসি সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৪ ঘণ্টার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এছাড়া শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এসব নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণাও বন্ধ হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে প্রচার কাজ বন্ধ করতে হয়।

করোনার ঝুঁকির মধ্যে ইউপি ভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, এমনিতে ইউপিগুলোর মেয়াদ এক বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। আমরা প্রায় সবগুলো নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। কিছু ইউপি বাকি হয়েছে তা শেষ করতে চাই। তাছাড়া পরিষদগুলোতে পুরনো প্রতিনিধি বসিয়ে রেখে লাভ কী। তবে আমরা করোনা পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ করেছি।

চলমান ইউপি নির্বাচনে ইতিমধ্যে পাঁচ ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সপ্তম ও শেষ ধাপে ১৩৮ ইউপিতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।