ইভ্যালির লকার ভেঙে যা পাওয়া গেলো

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দু’টি লকারের পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় সেগুলো ভাঙা শুরু হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির অফিসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে লকারগুলো ভাঙা হয়। 

লকারটি ভাঙার আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আদালতের গঠন করা পরিচালনা পর্ষদের প্রধান এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গত ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে ধানমন্ডি কার্যালয়ে লকারগুলোর কম্বিনেশন নম্বর (পাসওয়ার্ড) দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বর্তমান পর্ষদের প্রতিনিধিকে তাদের সঙ্গে দ্রুত দেখা করার ব্যবস্থা করতেও আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন আদালত।

=

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে লকার দুটি কাটা হচ্ছে।

পরে মেশিন দিয়ে কেটে লকার দুটির একটিতে দুটি ব্যাংকের চেক বই এবং কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। এরমধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি এবং সিটি ব্যাংকের ১০টি চেক বই এবং বেশ কয়েকটি কাগজ ছিল। 

ইভ্যালি

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক এই তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে একটি লকার ভেঙে বেশকিছু চেক বই পেয়েছি। তবে আমরা হতাশ, কারণ এসব চেক বইয়ের এখন আর কোনও ভ্যালিডিটি নেই। আরও একটি লকার কাটা হবে, পরে জানা যাবে ওই লকারে কী আছে।’