চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হচ্ছে 

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি মাস্টার প্ল্যান এবং মেট্রোরেল চালুর লক্ষ্যে কোইকার সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার  রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন  এবং কোইকা বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর খিম থে হিয়ন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

স্বাক্ষাৎ শেষে  ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি আরও জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় প্রায় ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে কোরিয় সরকারের অনুদান ৫১ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরী এবং পাশের এলাকার জন্য একটি সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা বা মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুত করা হবে। এর পাশাপাশি ম্যাস ট্রানজিট লাইন বা মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও করা হবে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান নগরীর উন্নয়ন চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে সার্কুলার রোড, রেডিয়াল রোড, মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, বাস টার্মিনালের জন্য স্থান নির্ধারণ, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে কোম্পানিভিত্তিক বাস পরিচালনার সমীক্ষাও সম্পন্ন করা হবে।’ এ  সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোরিয়া থেকে একটি বিশেষজ্ঞ সার্ভে টিম বাংলাদেশ সফরে এসেছে। দলটি আগামী ৮ ফ্রেব্রুয়ারি হতে ১২ ফেব্রুয়ারি   চট্টগ্রামের উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব  অংশিজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।’

চট্টগ্রাম বন্দর হয়েই দেশের সিংহভাগ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রামের অফুরন্ত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এবং নগরবাসীর  দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী এসময় চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের এ শুভলগ্নে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন এবং চট্টগ্রামবাসীর স্বপ্নের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় কোরিয় সরকার ও কোইকা’কে  ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, সমীক্ষা প্রকল্পটি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ’র তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হবে।

পরে কোইকা প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশ সফরে আসা কোরিয় বিশেষজ্ঞ দল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।