এখনই খুলছে না প্রাথমিক বিদ্যালয়

চলতি মাসেই দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পূর্ণ দুই ডোজ করোনা প্রতিরোধী টিকা নেওয়া থাকলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিতে পারবেন, অন্যরা অনলাইন কিংবা টেলিভিশনের মাধ্যমেই ক্লাস করবেন। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনই খুলছে না বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে আরও পরে, ১০ বা ১৪ দিন দেখা হবে। তারপর পরিস্থিতি বুঝে খুলে দেওয়া হবে।’

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।

মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীর দুই ডোজ টিকা নেওয়া হয়েছে, তারাই শুধু ক্লাসে আসবেন। আর যাদের টিকা নেওয়া বাদ রয়েছে, তারা অনলাইন এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস করবে।’ তবে যাদের টিকা এখনও নেওয়া হয়নি তাদেরও ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টিকা নিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস কীভাবে চলবে- এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘ছুটির আগে যেভাবে সীমিত পরিসরে যেভাবে ক্লাস চলছিল, সেভাবে পরিচালিত হবে।’

প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে আরও সময় লাগবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে আরও পরে। ১০ দিন বা ১৪ দিন দেখা হবে। তারপর পরিস্থিতি বুঝে খুলে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত তারিখ বলতে না পারলেও, আমরা আশা করছি চলতি মাসেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। জাতীয় পরামর্শ কমিটির সঙ্গে সভায় করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেবো। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে।’

শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যেভাবে যতটুকু ক্লাস নেওয়া সম্ভব আমরা কতটুকু করবো। যত দ্রুত করোনা পরিস্থিতি থেকে আমরা স্বাভাবিকে যেতে পারবো, তত দ্রুত সকল ক্লাস স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়ে যাবে।’

এদিকে প্রাথমিক টিকাদান সাপেক্ষেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বুধবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এমন পরামর্শ দেয় কমিটি। বৈঠক শেষে  কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন করোনা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে এবং সকল শিক্ষার্থীকে দুই ডোজ টিকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যেতে পারে। ১২ বছরের ওপরে যাদের বয়স তাদের ক্লাস শুরুর ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর কম বয়সী অর্থাৎ প্রাথমিকে পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি’। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা (কমিটি) বৈঠকে বলেছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং টিকাদান সাপেক্ষে খুলে দেওয়া যায়। তবে কত তারিখে খুলবে এটা তাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) ব্যাপার।’