প্যাকেজিং কাগজের মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের পাঁচ দাবি

প্যাকেজিং কাগজের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে সরকারের ‘অযৌক্তিক ও একপেশে অপরিবর্তিত রাজস্ব নীতি’র কারণে স্থানীয় প্যাকেজিং শিল্প বন্ধের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংগঠনটির সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এসময় দাবি উত্থাপনসহ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি এম এ বাশার পাটোয়ারী ও সহ-সভাপতি শাজাহান কামাল সাজু।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে আইন সবার জন্য সমান অথচ বিগত বাজেটে অসম রাজস্ব নীতি ও বৈষম্যমূলক আইনের মাধ্যমে ছোটদের আরও ছোট এবং বড়দের আরও বড় করার সুযোগ করে দিয়েছে। পক্ষান্তরে পেপার মিলগুলোর স্বেচ্ছাচারিভাবে কাগজের মূল্য বৃদ্ধি করায় প্যাকেজিং মালিকদের বিপুল লোকশানের সম্মুখীন করেছে। 

এসব কারণ দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্যাকেজিং শিল্প বাঁচাতে সরকারের সকলের প্রতি পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। প্রতি বছর ‘অযৌক্তিকভাবে কাগজের মূল্যবৃদ্ধি করে অতি মুনাফা অর্জনের নিয়ম বন্ধ করতে’ নীতি প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

সংগঠনটির দাবি, প্যাকেজিং শিল্পের সকল সমস্যা মোকাবেলায় সরকারি রুগ্ন ও লোকসানি কাগজকল কর্ণফুলি পেপার মিলের মত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আয় থেকে দায়শোধ প্রক্রিয়া ‘বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনকে হস্তান্তরের ব্যাবস্থা গ্রহণ করলে সকল প্যাকেজিং শিল্প ‘রক্তচোষাদের’ হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং বন্ডেড সুবিধাভোগীদের আমদানি কমে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র লোকাল প্যাকেজিং শিল্প ১০০ শতাংশ ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আমাদের সমস্যাগুলি সমাধান করলে এই খাত থেকে আরো আধিক রাজস্ব আহরিত হবে। 

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর রায়হান আরিফ, সহ-সভাপতি সৈয়দ ফখরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।