ছুটি মানেই বইমেলায় পাঠক-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। আসেন নানা বয়সের পাঠক, ঘোরেন, বই দেখেন, কেনেন। মেলার ১৮তম দিনে তৃতীয় শুক্রবার (৪ মার্চ) ছুটির দিন সকাল থেকেই জমে ওঠে মেলা। বিকালে মেলায় ভিড় আরও বাড়ে। যাদের অধিকাংশই ছিল তরুণ-তরুণী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দলে দলে এসেছেন তরুণ-তরুণীরা। কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে, আবার কেউ এসেছেন যুগলবন্দি হয়ে।
মেলার কয়েকটি স্টলে কথা বলে জানা যায়, অন্য যেকোনও দিনের তুলনায় আজ তরুণ পাঠকের উপস্থিতি বেশি এবং তরুণ লেখকদের বইয়ের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে বেশি। অন্যধারা প্রকাশের বিক্রয়কর্মী তানিয়া হক বলেন, ‘অন্য দিনের তুলনায় আজ তরুণ পাঠকের সংখ্যা বেশি। তারা বইও কিনছে। তরুণ লেখকদের বইয়ের চাহিদাও আজ বেশি।’
তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রিয়কর্মী নকীর রহমান বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই মেলায় মানুষ বেশি, বিক্রিও ভালো। বিকালে রোদ পড়ার পর ভিড় বাড়তে শুরু করে এবং আগত দর্শক ও পাঠকদের মধ্যে বড় একটি অংশ তরুণ-তরুণী, যা অন্য দিনগুলোর চাইতে বেশি। সবচেয়ে বড় কথা, আজ তরুণ লেখকদের বইয়ের বিক্রিও বেড়েছে।’
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ আশরাফ বলেন, ‘অন্য দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস থাকে, মেলায় আসার সময় করে উঠতে পারি না। আজ ছুটির দিন, জুমা পড়েই বন্ধুরা সবাই দলবেঁধে এসেছি। ঘুরছি, আড্ডা দিচ্ছি, বই দেখছি, কিনছি। দুজন প্রিয় তরুণ লেখকের বই কিনলাম।’
মেলার আয়োজন
বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণে: গাজীউল হক ও সিকান্দার আবু জাফর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসির আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আমিনুর রহমান সুলতান, আলফ্রেড খোকন ও তারেক রেজা। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
নতুন বই
এদিন মেলায় নতুন বই এসেছে ২২০টি। এরমধ্যে গল্প ৩২টি, উপন্যাস ২৯টি, প্রবন্ধ ১২টি, কবিতা ২১টি, গবেষণা ৩টি, ছড়া ৬টি, শিশুসাহিত্য ৮টি, জীবনী ৬টি, রচনাবলি একটি, মুক্তিযুদ্ধের বই ৬টি, নাটক ৩টি, বিজ্ঞান ২টি, ভ্রমণ কাহিনি একটি, ইতিহাস ৫টি, স্বাস্থ্য ৩টি, বঙ্গবন্ধু ৭টি, ধর্মীয় ৩টি, সায়েন্স ফিকশন একটি একটি অন্যান্য ১১টি।