রূপনগরে ট্রাকের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর রূপনগর থানাধীন বিরুলিয়া বেড়িবাঁধে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকসহ তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন—মোটরসাইকেল চালক মো. হারুন (১৭), মো. শামীম (১৭) এবং মো. মিলন হোসেন (২০)। তারা তিন জন বন্ধু ছিলেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৪ মার্চ) সাড়ে চারটায় বিরুলিয়া বেড়িবাঁধ সাদি পেট্রোল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের বন্ধু শামীম হাসান জানান, বিকালে আমরা চারটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন বন্ধু পঞ্চবটিতে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। একটি মোটরসাইকেলে ছিল শামীম, মিলন ও হারুন। রূপনগর বেড়িবাঁধ সাদী তেলপাম্প থেকে তেল নিয়ে পঞ্চবটির দিকে যাওয়ার সময়ই পাম্পের সামনের রাস্তায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সবাই। ঘটনাস্থলে মারা যায় হারুন।

গুরুতর আহত অবস্থায় মিলন ও শামীমকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে মিলনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শামীমকে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাত আটটায় তাকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত তিন জন ও তাদের বন্ধুদের সঙ্গে মোট পাঁচটি মোটরসাইকেল যোগে বেড়িবাঁধ এলাকায় ঘুরতে বের হয়েছিল।

কোন গাড়ির ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান এসআই আনোয়ার।

শুক্রবার রাত সাড়ের দশটায় নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিনটি মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মৃত শামীম কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সরকার টারিগ্রামের রিকশাচালক ফুলবার আলীর ছেলে। রূপনগর হাউজিং এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতো। সে কাজ করতো একটি গ্যারেজে। মিলন ঝালকাঠি জেলা কাঠালিয়া উপজেলার স'মিলের শ্রমিক সুবাহান বেপারীর ছেলে। তিনি কাজ করতেন একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানে। থাকতো মিরপুর শাহ আলী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে। মৃত হারুন ভোলা সদর উপজেলার চর মনসা গ্রামের নিরাপত্তাকর্মী ফারুক হোসেনের ছেলে। রূপনগর আবাসিক এলাকায় থাকতো সে।