বইমেলার শেষ শুক্রবারে জমজমাট শিশুপ্রহর

আগামী বৃহস্পতিবার এবারের বইমেলার শেষ দিন। সে হিসেবে আজ মেলার শেষ শুক্রবার। এদিন সকালে বইমেলার শিশুপ্রহর ছিল শিশুদের পদচারণায় মুখর।

শুক্রবার (১১ মার্চ) বইমেলার দুয়ার খুলে সকালে ১১টায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবকদের হাত ধরে দলে দলে আসছে নানান বয়সের শিশু। অল্প সময়েই ভিড় জমে যায় শিশু চত্বরের। শিশুরা এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরে ঘুরে বই দেখছে, পছন্দ করছে আর লুফে নিচ্ছে পছন্দের বই। শুধু শিশু চত্বর নয়, মেলার প্রায় সবকটি স্টলেই দেখা যায় শিশু-কিশোরদের।

অভিভাবক ও বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, মেলার শেষ শুক্রবার বলেই শিশুদের ভিড় আজ তুলনামূলক বেশি। বিক্রিও আগের তুলনায় ভালো হচ্ছে। এবারের মেলায় শিশুতোষ বইয়ের সর্বোচ্চ বিক্রি হবে বলেও তাদের বিশ্বাস।

ঝিলমিল প্রকাশের সত্বাধিকারী আনিসুর রহমান বলেন, 'আজ মেলার শেষ শুক্রবার, তাই শিশুদের ভিড় তুলনামূলক বেশি। বিক্রি ভালো হচ্ছে। আশা করছি শিশুতোষ বইয়ের সর্বোচ্চ বিক্রি হবে।'

ঘাসফড়িংয়ের বিক্রয়কর্মী আমজাদ হোসেন বলেন, 'যারাই আসছে বই কিনছে।'

টুনটুনি প্রকাশের বিক্রয়কর্মী তানিয়া রহমান বলেন, আজ সকালটা বলতে গেলে শিশুদেরই! তারা আসছে, দেখছে, পছন্দের বই কিনছে! তাদের উৎফুল্ল হয়ে বই কিনতে দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগছে।'

ধানমন্ডি এলাকা থেকে দুই মেয়ে সাইমা ও সায়রাকে নিয়ে মেলায় এসেছেন ওয়াহিদ হামিদ। তিনি বলেন, 'নিজের অফিস, মেয়েদের স্কুল সব মিলিয়ে সময় হয়ে ওঠে না। তাই শুক্রবারই একমাত্র উপায় মেলায় আসার। আজ মেয়েরাও বেশ করে বায়না ধরেছে, কারণ আজই শেষ শুক্রবার মেলার। তাদেরকে নিয়ে এসেছি। তাদের আনন্দ দেখে নিজে আনন্দ পাই। তার সঙ্গে মেলার স্মৃতিকাতরতাও কাজ করে।'

রাজধানীর লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ নাসিম মায়ের সঙ্গে এসেছে মেলায় বই কিনতে। ওয়াহিদ বলেন, বাবা তো দেশে নেই তাই মায়ের সঙ্গে এসেছি! বাবা-মা দুজনের সঙ্গে আসতে পারলে আরও ভালো লাগতো। তবে মেলায় আসার পর বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছি। আজ মেলার শেষ শুক্রবার। তাই আজ পুরো বছরের পড়ার বই সংগ্রহ করে যাবো, যেটি পছন্দ হবে তা-ই কিনবো।'