বইমেলায় শুক্রবারের ভীড়ে উধাও স্বাস্থ্যবিধি

শুক্রবার ছুটির দিনে অমর একুশে বইমেলায় পাঠক, দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও মেলার প্রবেশপথগুলোতে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই।  ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় নিরাপত্তা কর্মীদের। আর যথারীতি ভীড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। বইমেলার প্রবেশদ্বারে নামমাত্র মুখে মাস্ক থাকলেও ভেতরে বেশিরভাগই সেটা খুলে ফেলেছেন, না হয় ঝুলিয়েছেন থুতনিতে।

শুক্রবার মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়। দুপুর থেকেই পাঠক-দর্শনার্থী হুড়মুড়িয়ে বাড়তে থাকে। সারাটা দিন জুড়ে অবশ্য প্রকাশকদের মাঝে বিরাজ করেছে স্বস্তির আমেজ। কারণ বিক্রি বেড়েছে। তবে করোনার এই নিম্নমুখী প্রবণতার সময়টায় খানিকটা শঙ্কাও ছিল।

কবি ও লেখক মিলন আবদুল্লাহ বলেন, ‘এবার মেলার প্রথম দিন থেকেই দেখছি প্রচুর ভিড়। যথারীতি অভিযোগ— ভিড় বাড়লেও ক্রেতা কম। কিন্তু আজ সকাল থেকে অনেক ক্রেতাও দেখলাম। মেলার সার্বিক বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে আগত দর্শনার্থী ও পাঠকদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরেকটু সচেতন হওয়া উচিত।’

অনিন্দ প্রকাশের বিক্রয়কর্মী রজত পাল বলেন, ‘মেলায় আজ ভালো পাঠক এসেছেন। বইও কিনেছেন। প্রথম দুই সপ্তাহ বেশ ভালো বেচাকেনা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ তেমন হয়নি। আজ বিক্রি ভালো। ছুটি থাকায় বিক্রি বেড়েছে। একটু ব্যস্ত সময় পার করছি। আশা করছি বাকি দিনগুলোতে ভীড় আরও বাড়বে। পাঠক ও দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা কিছুটা উদ্বিগ্ন করছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকলাইন আহমেদ বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ মেলায় ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা আশার দিক যে তরুণ প্রজন্ম এখন বইয়ের দিকে ঝুঁকছে। দুঃখজনক বিষয় হলো কেউই এখন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকলে এ উদাসীনতা থাকতো না।’

উল্লেখ্য, এবার বইমেলায় মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬ ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য রয়েছে ১৪২টি স্টল আছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ৬৩৪টি স্টল। প্যাভিলিয়ন রয়েছে ৩৫টি।