সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বই সংগ্রহে এবার বেশি সাড়া মিলেছে

প্রতি বছর ভাষার মাসে আয়োজন করা হয় বইমেলার। বড়দের পাশাপাশি মেলাপ্রাঙ্গনে ভিড় করে ক্ষুদে পাঠকরাও। অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের নিয়ে আসেন মেলায়। অভিভাবকদের হাত ধরে স্টলে স্টলে ঘুরে পছন্দের বই কেনে তারাও।

তবে মেলায় আরেক ধরনের শিশুদেরও দেখা মেলে। যারা মেলায় ফুল, পানি, চকলেটসহ বাহারি জিনিস ফেরি করে। এ শিশুরা শিশুতোষ বইয়ের বিভিন্ন স্টলে গিয়ে পাতা উল্টিয়ে দেখে নতুন বই। যারা একটু-আধটু পড়তে জানে তারা বিস্ময় চোখে পড়ার চেষ্টা করে। তার সে চোখে দেখা যায় নতুন বই কেনার আকাঙ্খা। কিন্তু ভাগ্য সহায় না। তাদের মতো এরকম অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিশু আগ্রহ থাকার পরও আর্থিক সংকটের কারণে বই কিনতে পারে না।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এই পড়াকে সহজ করতে ২০২০ সাল থেকে মেলায় বই সংগ্রহ ও বিতরণ করে আসছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এবারের মেলায় তাদের রয়েছে পাঁচটি বুথ। একদল স্বেচ্ছাসেবক বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের অবহিত করেন তাদের উদ্যোগ সম্পর্কে। আগত অনেকেই বই দান করেন। এসময় বইদাতাদের দেওয়া হয় সার্টিফিকেট।

এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, গত দুই বছরের তুলনায় এবার মেলায় আরও বেশি বইদাতাদের সাড়া মিলেছে। পাঁচটি বুথে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫০-৫০০টি বই অনুদান পাওয়া গেছে।

এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে ও বই দান করতে পেরে আনন্দিত স্বেচ্ছাসেবক ও দাতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এমনটি।

কার্যক্রমটি পরিচালনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিকাশ। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিকাশের হেড অফ করপোরেট কমিউনিকেশনস শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, 'গত দুই বছর মেলায় আসা ক্রেতা-পাঠক-লেখক-দর্শনার্থী ও আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া বই মিলিয়ে মোট ২২,৬৫০টি বই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লাইব্রেরিতে বিতরণ করা হয়েছে। গত দুই বছরের চেয়ে এবারের বইমেলায়ও আরও বেশি সাড়া মিলেছে। বইমেলা শেষে মোট সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা জানানো যাবে।'