আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুসমর্থন করলো বাংলাদেশ

কাজে যোগদানের ন্যূনতম বয়স সম্পর্কিত ‘আইএলও কনভেনশন-১৩৮’ অনুসমর্থন করলো বাংলাদেশ। এ কনভেনশন অনুসমর্থনের মাধ্যমে সবক’টি মৌলিক কনভেনশন অনুসমর্থনের মাইলফলক স্পর্শ করলো বাংলাদেশ।

জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও’র সদর দফতরে বাংলাদেশের পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সই করা অনুসমর্থনপত্র আইএলও-এর মহাপরিচালক গাই রাইডারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) শ্রম মন্ত্রণাণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুসমর্থনপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে জবরদস্তিমূলক শ্রম সংক্রান্ত আইএলও  কনভেনশন, ১৯৩০  এর  প্রটোকল-২০১৪ অনুসমর্থন করেছে এবং মঙ্গলবার কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থনের মাধ্যমে সব মৌলিক কনভেনশন এবং এ সংক্রান্ত প্রটোকল অনুসমর্থন করলো। সরকার আইএলও  শ্রমমান বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ  আইএলও’র ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ ২৯টি দলিলে অনুসমর্থন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোভন কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধুর মতোই কর্মস্পৃহা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৭ অনুযায়ী, সব সেক্টর থেকে শিশুশ্রম নিরসন করা হবে। সব খাত থেকে শিশুশ্রম নিরসনে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি সরকার আগের ৩৮টির  সঙ্গে আরও পাঁচটি খাতকে শিশুশ্রমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে ১.৭ মিলিয়ন শিশু শ্রমে ছিল, তার মধ্যে ১.২ মিলিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।’ সরকার আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থনের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধ করবে বলে তিনি নিশ্চয়তা দেন।

এ সময় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী, সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা করিমসহ মন্ত্রণালয় এবং স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।