সমুদ্র নিরাপত্তা সহযোগিতায় নির্দিষ্ট প্রস্তাব ইইউ’র

বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্র নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-ডিকাবের উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ইইউ’র ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক বিশেষ দূত গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইইউ’র ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে নিরাপত্তা উপাদান আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুতে ইইউ যোগাযোগ রাখছে।’

গ্যাব্রিয়েল ভিসেনটিন বলেন, ‘নিরাপত্তা সফটওয়্যার ক্রিমারিও ব্যবহার করার প্রস্তাব করেছে ইইউ। সমুদ্রে কি ঘটছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য প্রদান করার সফটওয়্যার হচ্ছে ক্রিমারিও। এর অনেক ব্যবহার আছে।  নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড এটি ব্যবহার করতে পারবে।’

এটি আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি বলে তিনি জানান।

ভিসেনটিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ (মুর্শিদ কাজী) আমাকে সরাসরি একটি প্রশ্ন করেছেন। সেটি হচ্ছে— ইইউ’র কমন সিকিউরিটি এবং ডিফেন্স পলিসিতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ভূমিকা কী হতে পারে। আমি ব্যাখ্যা করে বলেছি, এখানে সহযোগিতা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এ অঞ্চলে ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের সমন্বিত চুক্তি আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এটি হওয়ার জন্য আমরা কেন বিবেচনা করবো না।’

ইন্দো-প্যাসিফিকের সাতটি উপাদান আছে এবং এগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য কোনও পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই। উপাদানগুলো পড়ে এবং বুঝে উপযুক্ত মনে হলে ইইউ’র সঙ্গে কাজ করতে পারে যেকোনও দেশ বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সাতটি উপাদানেই কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশটির অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে এবং ইইউ’র সঙ্গে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্পর্কে এর একটি প্রভাব পড়বে।’

উভয়পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও কাজ করছে জানিয়ে ইইউ’র বিশেষ এই দূত বলেন, ‘আমরা সমুদ্র নিরাপত্তা ও সুশাসন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষসতা বৃদ্ধি, আনক্লজসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছি।’

রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কোনও দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, বরং এটির সমাধান বৈশ্বিকভাবে করতে হবে। এজন্যই এর সঙ্গে জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জড়িত।’