নিজ হাতে ইফতারের থালা সাজালেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বুধবার বিকালে ইফতারের কিছু আগেই হাজির হলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্যোগে দুস্থ, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে ইফতার আয়োজনে যোগ দেন তিনি। নিজ হাতে ইফতারের প্লেট সাজান, শরবত পরিবেশন করেন এবং সবশেষে এসব মানুষের সঙ্গে পথে বসে ইফতার করেন।

বুধবারের এই আয়োজনে আরও যুক্ত হয়েছিলেন গরিবের চিকিৎসক খ্যাত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার, এফবিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর স্ত্রী ও নারী উদ্যোক্তা নাসরিন ফাতেমা আউয়াল এবং ‘ফুটবল মানব’ বলে খ্যাত মাসুদ রানা।

পেশাজীবী, অসহায়, দুস্থ, ছিন্নমূল মানুষ কিংবা মন্ত্রী, সাংবাদিক সবাই এক কাতারে। পথে বসে করছেন একসঙ্গে ইফতার। যার মূল প্রতিপাদ্য ‘সবাই মিলে বাংলাদেশ’। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ‘সাংবাদিক পাড়া’ নামে খ্যাত কাওরান বাজারে এটিএন নিউজের সামনে দেখা যায় এমন দৃশ্য। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এই  ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা।

বুধবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইফতারের আগ মুহূর্তে দেখা যায়, সুশৃঙ্খলভাবে ইফতারের জন্য বসেছেন কাওরান বাজার এলাকার দুস্থ, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তাদের সঙ্গে আরও  আছে ছিন্নমূল ও পথশিশু। সবার জন্য একই ইফতারের মেন্যু। সেলুফেন দিয়ে মোড়ানো প্লেটে বিরিয়ানি, ফল, বিস্কুট এবং খেজুর। সঙ্গে আছে শরবত। সবাই একসঙ্গে মিলে করলেন ইফতার। কারও মধ্যে নেই তাড়াহুড়া।FB_IMG_1649260877191

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকে আহ্বান জানান, ইফতারের ব্যবস্থা আছে সবাই চলে আসেন। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে  জড়ো হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষরা। অন্তত ১৫০-২০০ মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা এখানে প্রতিদিন করা হয় বিনামূল্যে।

এসময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমরা সবাই এক কাতারে ছিলাম। এখানেই তো সবাই মিলে বাংলাদেশ। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র কার কী পেশা তাও জানি না। কিন্তু সবাই মিলে একসঙ্গে বসেছি।’

‘ফুটবল মানব’ বলে খ্যাত মাসুদ রানাও এসেছেন এরকম আয়োজনের খবর শুনে। স্বেচ্ছাশ্রম দিলেন ফুটবল মাথায় রেখেই। বললেন, মানুষকে আনন্দ দেওয়াতেই তিনি খুঁজে পান শান্তি।

ডা. আয়েশা আক্তার এসেছেন মিষ্টি নিয়ে। সেই মিষ্টি নিজ হাতেই তুলে দিলেন ইফতার করতে আসা মানুষদের প্লেটে। ফ্রি চিকিৎসা সেবাও দিলেন সাধারণ মানুষকে।

মুন্নী সাহা বলেন, ‘আমরা এক কাতারে বসে সবাই খাচ্ছি, এর নামই সবাই মিলে বাংলাদেশ।’