ইউপি সচিবদের নিরাপত্তার দাবি

খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুরের ইকবাল হোসেনসহ সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের ওপর ‘সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা’য় চার দফা দাবি জানিয়েছেন এই পদে কর্মরতরা। রবিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এইসব দাবি জানায় ইউপি সচিব কল্যাণ তহবিল আহ্বায়ক কমিটি।
 
কমিটির অন্যান্য দাবিগুলো হলো- মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে অনতিবিলম্বে বরখাস্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা; ক্ষতিগ্রস্ত ইউপি সচিবের চিকিৎসা ব্যয় বহনসহ প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার বাধ্য থাকবে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার/জেলা প্রশাসক দোষী বা দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং ভিকটিমের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ দেশের যেকোনও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব তার কর্মক্ষেত্রে কোনও প্রকার হামলা বা নির্যাতনের শিকার হলে প্রশাসন তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মীর আবদুল বারেক বলেন, নির্মমভাবে প্রহার করায় ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনের একটি হাত ভেঙ্গে গেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন সে আজও বহন করে চলেছে। অথচ অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্থানীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ইউপি সচিবদের জন্য অপমানজনক। 
 
তিনি আরও বলেন, আমরা 'বাংলাদেশ ইউপি সচিব কল্যাণ তহবিল আহবায়ক কমিটির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিম্পা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচারের অপরাধে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি সারা দেশে ইউপি সচিবদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
 
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব কল্যাণ তহবিল আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, আলতাব হোসেন, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, মো. আলী মামুন মৃধা, আব্দুস সামাদ, লিটন চন্দ্র সমাদ্দার, মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।