ইলিশ নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই

সূর্যের আলো ফুটতেই শুরু হবে পহেলা বৈশাখের আয়োজন। নতুন বছরকে বরণ করতে চলবে নানা অনুষ্ঠান। যুগ যুগ ধরেই পহেলা বৈশাখের সঙ্গে পান্তা ইলিশের প্রচলন থাকলেও রমজান মাসের কারণে সেই চল এবার কিছুটা কমেছে। এক সময় ইলিশের উপচে পড়া চাহিদার কারণে পহেলা বৈশাখের আগেই ইলিশের দাম হয়ে যেতো আকাশ ছোঁয়া। এখন আর সেই চিত্র নেই। কম দামেও মিলছে না ইলিশের ক্রেতা। ইলিশের চেয়ে বরং অন্য মাছের ক্রেতা বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

ঢাকার বিভিন্ন বাজার এবং সুপার শপগুলো ঘুরে জানা যায়, ইলিশের দাম এবার আগের তুলনায় অনেক কম। রমজান মাসের কারণে আয়োজন কম থাকায় ইলিশের চাহিদাও কমেছে। কম মূল্যে  ইলিশ বিক্রি করেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না তেমন। অথচ বৈশাখ এলেই ইলিশের দাম আয়ত্তের বাইরে চলে যেতো। এমনকি এক জোড়া ইলিশ ১০ হাজার টাকায় বিক্রিরও রেকর্ড আছে।  বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পিস হিসেবে। মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায় এবং ছোট  ইলিশ ২০০-৩০০ টাকায়।

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারমোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে গিয়ে দেখা যায়,  ইলিশ মাছ বিক্রেতারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাদের দোকানে ক্রেতা নেই। তবে বেশকিছু ক্রেতা আছেন বাজারে। তারা অন্য মাছ দরদাম করছেন। তারা জানান, রোজার মাসে সেহরির জন্য সাধারণত দেশি ছোট মাছ বা সাধারণ মাছের চাহিদা থাকে। পহেলা বৈশাখে তো এখন আর পান্তা ইলিশ খাওয়ার সুযোগ নেই। তাই অন্য মাছ কিনছেন তারা।

এই বাজারের ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী ইয়াসিন বলেন, ‘ক্রেতা নেই একদম। আগে যারা নিয়মিত বৈশাখে ইলিশ কিনতেন তারাও আসছেন না। রোজার মধ্যে মনে হয় আয়োজন নেই। ইলিশের দাম একদম কম। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি করছি ৭০০ টাকায়, আপনি ৬০০ টাকা দ্যান।’

সুপারশপগুলোতেও ইলিশ মাছের বিক্রি নেই। ধানমন্ডির একটি সুপারশপের কর্মী জানান, গত বছর যে মাছ ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার সেটা ৭০০ টাকা, তারপরও কাস্টমার নেই। ইলিশ নিয়ে একসময় মানুষ ঝাপিয়ে পড়তো। পহেলা বৈশাখে এখন তেমন কিছু দেখি না। ২০০০-৩০০০ টাকা দিয়েও গত বছর ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে। এবার ১৮০০ টাকায়ও সেই মাছ বিক্রি হয় না।