নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সাত দাবি

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ। শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম সাহেব হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষে থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সাত দফা দাবি তুলে ধরেন পরিষদের মহাসচিব মো. আমজাদ আলী খান। তাদের দাবিগুলো হলো- জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনপূর্বক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ১৯৭৩ সালের দশ ধাপে নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১ দশমিক ৫ হতে হবে। আগের মতো শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল করতে হবে।

নবম পে-স্কেল প্রদানের আগ পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করা এবং সরকারি কর্মচারীদের আগের মতো তিনটি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল করা। জীবনযাত্রার মান সমন্নত রাখার স্বার্থে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ও গ্রাচ্যুইটির হার টাকায় ১=২৩০ টাকার স্থলে ১=৪০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিও জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে দাবি তুলে ধরে আরও বলা হয়, এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি চালুসহ সচিবালয়ের মতে সচিবালয়ের বাইরে সকল সরকারি কর্মচারীদের সিলেকশন গ্রেডসহ পদবী ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে; আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। বিভিন্ন সরকারি দফতর বা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি আদেশ, অত্যাচার-নির্যাতন মূলক ও মিথ্যা মামলা বন্ধ বা প্রত্যাহার করতে হবে; ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের মতো প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশ বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ন্যায় সকল দফতরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।

বক্তারা বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই সাত দফা দাবি নিয়ে আগামী ১১ মে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী কার্যলয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি মো. মতিউর রহমান, উপদেষ্টা মো. মহিউদ্দিন, মো. বরকত খান, কার্যকরী সভাপতি আসকার ইবনে শায়েখ খাজা, সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহীম প্রমুখ।