অধ্যাপক রহমতুল্লাহর কাছে মোশতাককে শ্রদ্ধা জানানোর ব্যাখ্যা দাবি

বঙ্গবন্ধুর খুনি ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা জানানোর ঘটনায় অধ্যাপক ড. মো. রহমতুল্লাহর কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তিনি বর্তমানে শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

বুধবার (২০ এপ্রিল) সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামূল হক ভূঁইয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক রহমতুল্লাহ মুজিবনগর সরকারের অন্যান্য নেতার পাশাপাশি খুনি মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদ ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় এক জরুরি সভায় মিলিত হয় এবং তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওই বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। অধ্যাপক রহমতুল্লাহর এ বক্তব্য তার ব্যক্তিগত, শিক্ষক সমিতির নয়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি অধ্যাপক রহমতুল্লাহর কাছে ব্যাখ্যা দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, জাতির ইতিহাসের চরম বিশ্বাসঘাতক ও ষড়যন্ত্রকারী মোশতাককে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য ও অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘৃণিত ব্যক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার এবং জাতীয় চার নেতার খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী সব অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সুতরাং ঘৃণা প্রকাশ ছাড়া অন্য কোনোভাবে তার নাম উচ্চারণ করার অবকাশ নেই বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় অধ্যাপক রহমতুল্লাহ খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন- এমন অভিযোগ ওঠে। সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ওই বক্তব্যকে এক্সপাঞ্জ করেন।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ার দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি পাঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সেখানে তারা অধ্যাপক রহমতুল্লাহর শাস্তির দাবি জানায়।

 

এরআগে খন্দকার মোশতাককে শ্রদ্ধা জানানো অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমতুল্লাহ।