ক্ষতিপূরণের জাতীয় মানদণ্ড তৈরির দাবি শ্রমিক নেতাদের

নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত ও শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের জাতীয় মানদণ্ড তৈরিসহ রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে শ্রমিক নেতারা।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের উদ্যোগে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৯ বছর স্মরণে মানববন্ধনে শ্রমিক নেতারা এ দাবির কথা বলেন।

হতাহতদের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ও আহতদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে সকল শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনতে হবে। নির্মাণ, রাসায়নিক ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রগুলো পরিদর্শনে দেশব্যাপী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বা ঝটিকা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান তারা।

৯ বছর অতিক্রান্ত হলেও রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলা ও বিল্ডিং কোড সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের মামলা আজও নিষ্পত্তি হয়নি—উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ টাকা করার সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৬ সালে শ্রম আইনে নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর ১৩ বছর পর ২০১৮ সালের শ্রম আইন সংশোধনীতে নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়াও কর্মস্থলের নিরাপত্তা বিধানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের জবাবদিহি আজও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

মানববন্ধনে এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের আহবায়ক ড. হামিদা হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, বিলস্-র পরিচালক নাজনা ইয়াসমীনসহ অন্যান্যরা।