ভর্তুকি মূল্যে কৃষককে সার পৌঁছে দিচ্ছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের কাছে সার ও কৃষি উপকরণ পৌঁছে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সরকারের দেওয়া প্রণোদনার বীজ ও সার আপনাদের কাছে আমানতস্বরূপ। এই সার ও বীজের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখতে হবে।’ 

রবিবার (২৪ এপ্রিল) সাধন চন্দ্র মজুমদার জেলার পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার এবং বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে সারের দাম বাড়লেও সরকার ভর্তুকি মূল্যে কৃষককে সার পৌঁছে দিচ্ছে। দেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকের কাছে নিয়ে গেছেন। এ কারণে জমি কমলেও কৃষকের উৎপাদন বেড়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।’

প্রকৃত কৃষকের হাতে প্রণোদনা পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষক নন কিংবা চাষের জমি নাই, এমন কেউ যেন প্রণোদনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার অনগ্রসর সব শ্রেণি পেশার মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে।’

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের উফশী আউশ চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য বর্তমান অর্থবছরে পোরশা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে এক হাজার একশ’ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন।

প্রণোদনা হিসেবে একজন কৃষক ৫ কেজি আউশ বীজ, ২০ কেজি ডিওপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে মহিলা অধিদফতরের আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ৪৭ জন নারীর মাঝে চার লাখ ৮৯ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন তিনি।

পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাস্তবায়নাধীন সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৫০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করেন এবং ২১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাবৃত্তির চেক তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী।

খবর: বাসস