আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষিমন্ত্রী

বেশি ফলন হওয়ায় আলু নিয়ে পরিকল্পনা ঠিক করতে গিয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দফতরে নেপালের বিদ্যুৎ, পানি ও কৃষিমন্ত্রী পম্পা ভুসালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কোনও উপায় নেই। আলু রফতানির সুযোগও এবার সীমিত। এছাড়া এখন বিশ্বের অনেক দেশেই আলু উৎপাদন হয়। ইউরোপীয় দেশগুলোও এখন আর তেমন আলু আমদানি করে না। আগে শ্রীলঙ্কা আর রাশিয়া আলু আমদানি করলেও বর্তমানে রাশিয়ায় যুদ্ধ চলছে। শ্রীলঙ্কার অবস্থা ভালো নয়। রাশিয়া আলু আমদানি ওপেন করেছে, কিন্তু ব্যাংকিং সিস্টেম নেই।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে কী হয়? এখন দেখেন পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। আলুরও একই অবস্থা। গত বছর দাম বেশি ছিল। এ বছর আবার এই অবস্থা। উৎপাদন একটু বেশি হলে চাষিরা বিক্রি করতে পারেন না। এখন তো ইচ্ছা করলে আলুর দাম কিছুতেই বাড়াতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে চাষিদের আমরা আলুর দাম নিয়ে সহযোগিতা করবো। তবে আমাদের চেষ্টার কোনও শেষ নেই। মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আলুর রফতানি বাড়ানো ও অ্যাগ্রো প্রসেসিং করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। যেমন- পেপসি কোম্পানির লেইস চিপস বিদেশ থেকে আসে। তারা সেটা বাংলাদেশে করবে।’

‘বোম্বে সুইটসসহ অন্যরা আলুসহ অন্যান্য প্রোডাক্ট অ্যাগ্রো প্রসেস করছে। একটু সময় লাগবে। ইনশাআল্লাহ, আলুর ব্যাপক ব্যবহারও হবে। আলুর মার্কেটিং অনেক সহজ হবে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ঠিক করেছিলাম রফতানি করবো। এখন রফতানি করলে তারা পেমেন্ট করতে পারবে না। আর রাশিয়ায় যুদ্ধের কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।’