‘অনির্বাচিতদের হাতে জেলা পরিষদের ক্ষমতা হস্তান্তর কেন অবৈধ নয়’

জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তী পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন কেন অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ বাকির উদ্দিন ভুঁইয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

পরে আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৭ এপ্রিল জেলা পরিষদের ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তা সংবিধানের ৭, ১১, ২৬, ২৭, ৩১, ৪০, ৫৯ এবং ৬০ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিট করেছি। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।’

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল সরকারের জারি করা গেজেটে উল্লেখ করা হয়, ‘জেলা পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন প্রশাসক জেলা পরিষদের কার্যাবলি সম্পাদন করবেন। সরকার একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনও কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। সেই মেয়াদ একের অধিকবার বা ১৮০ দিনের বেশি হবে না।’

প্রশাসক নিয়োগের আগ পর্যন্ত জেলা পরিষদ আইন-২০০০-এর ৭৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

পরে ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ৫ নম্বর (সদর থানা) ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ও বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বাবুল মিয়া রিট দায়ের করেন। রিটে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা পরিষদ শাখার উপ-সচিবকে বিবাদী করা হয়।