উপাত্ত সুরক্ষা আইন: ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান আসকের

‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’ এ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বিশেষত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার ও তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) । বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’ নামে একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে। খসড়া আইনটির ওপর অংশীজনের মতামত সংগ্রহের জন্য এটি বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং ২৭ এপ্রিলের  মধ্যে সর্বসাধারণের পর্যবেক্ষণ, মতামত ও সুপারিশ প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উপাত্ত সুরক্ষার লক্ষ্যে আইনের খসড়া তৈরি করায় সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। একইসঙ্গে আসক মনে করে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন— যা প্রতিটি নাগরিক, প্রতিষ্ঠান তথা সমাজের প্রতিটি খাতের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই এমন জনগুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করার আগে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা ও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। পূর্বেকার বিভিন্ন আইন বিশেষত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ এর নানা ধরনের অপব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে আসক  মনে করে, উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রয়োজন, তবে তা জনগণের অধিকার নিশ্চিতের দৃষ্টিকোন থেকে প্রণয়ন করা উচিত। খসড়া আইনে ব্যবহৃত বিভিন্ন টার্মের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার অনুপস্থিতি, অস্পষ্টতা বা বিশালতার কারণে এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারসহ অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে, এ খসড়া আইনের বেশকিছু ধারা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার, তথ্যের অধিকার এবং এ  সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একইসঙ্গে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টার সঙ্গে এ ধরনের আইন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আসক সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেছে,  খসড়া ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২’ এর ওপর মতামত প্রদানের সময়সীমা বাড়ানো এবং বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক আলোচনার আয়োজন করা, খসড়া বিধানগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করে এ অস্পষ্টতা দূর করা। জনগণের সাংবিধানিক ও মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ধারাগুলো বাদ দেওয়া এবং খসড়া পর্যালোচনার সময় সাংবিধানিক সব অধিকারসহ ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ওপর গুরুত্বারোপ করা: