যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে  মন্ত্রী তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এটি বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রথম সাক্ষাৎ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের  তৈরি পোশাক রফতানির বড় বাজার। দেশের কারখানাগুলো নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। বিল্ডিং ও ইলেকট্রিসিটি সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাককর্মীরা এখন নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছেন। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের লিড গ্রিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সনদপ্রাপ্ত ১৫৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশ্বের প্রথম ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেই ৯টি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশের  তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ বাড়লেও ক্রেতারা সে তুলনায় মূল্য বৃদ্ধি করেনি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য (ফেয়ার প্রাইজ) নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।’

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। দেশটির উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য পিটিএ বা এফটিএ-এর মতো বাণিজ্য চুক্তি সই করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে করে সাময়িকভাবে বাংলাদেশ শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে।’

এ সময়  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, নূর মো. মাহবুবুল হক, আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।