স্পিকারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সঙ্গে তার সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সংসদীয় কূটনীতি, সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি, কোভিড পরবর্তী বাংলাদেশের স্স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গ, মেট্রোরেলসহ আরও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনে নিরলস কাজ করছেন। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি হিসাব, অনুমিত হিসাব, সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ অন্যান্য স্থায়ী কমিটিগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণ, টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ অর্জন ইত্যাদি বিষয়ে সংসদ সদস্যরা সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘কোভিডকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী দক্ষতার সঙ্গে মহামারি মোকাবিলার কারণে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনযাপন সুরক্ষিত হয়েছে। কোভিড পরবর্তী সময়েও দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে। তৈরি পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্র, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান। শতভাগ বিদ্যুতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নারীশিক্ষার অগ্রগতির মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি বর্তমান সংসদে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছাড়াও সরাসরি নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্য রয়েছে।’

বাংলাদেশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের সৌন্দর্যের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে।’ এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ়ীকরণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ হতে জনশক্তি রফতানি ও অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্পিকার।