এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ৭টি ওয়ার্ডে ‘বিশেষ চিরুনি অভিযান’ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামী ১০-১২ মে এই অভিযান পরিচালিত হবে। 

রবিবার (৮ মে) বিকালে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে নিয়মিত পাক্ষিক পর্যালোচনা সভায় ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই নির্দেশনা দেন।

এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘বর্ষাকালে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু সংক্রমণও বাড়ে। সেজন্য বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমাদের যে ৭টি ওয়ার্ডকে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে সব ওয়ার্ডে মশক নিয়ন্ত্রণ ও নিধন কার্যক্রমে আরও বেশি জোর দিতে হবে। তদারকি বাড়াতে হবে। জোরালো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেসব ওয়ার্ডে আগামী ১০-১২ মে পর্যন্ত বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করুন।’

জনসচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুরূহ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে হবে। এছাড়া  এডিস মশার প্রজনন স্থল শুধু বাড়ির চারপাশ ও আঙ্গিনায় নয়, বাড়ির অভ্যন্তরেও সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তাই, এডিস মশার সংক্রমণ রোধ করতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে, তাদেরকে সচেতন করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্ষাপূর্ব জরিপ (প্রি-মনসুন সার্ভে) অনুযায়ী, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮, ৪০ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড উচ্চ এবং ১৩, ১৫, ২১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডকে মধ্যম মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব ওয়ার্ডে এই বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

অন্যান্য সময়ে নিয়মিতভাবে ৭ জন মশককর্মী লার্ভিসাইডিং এবং ৬ জন মশককর্মী এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু এই বিশেষ চিরুনি অভিযানে সকালে ১৩ জন মশককর্মী লার্ভিসাইডিং এবং বিকালে ১৩ জন মশককর্মী অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময় করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বিশেষ চিরুনি অভিযান কার্যক্রম তদারকি করবেন।

পাক্ষিক পর্যালোচনা সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।