গণকমিশনের শ্বেতপত্র ভিত্তিহীন ও বানোয়াট: হেফাজত

জঙ্গিদের অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে কাজ করছে— এমন অভিযোগ এনে ১১৬ জন  ধর্মীয় বক্তার একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন। মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশনের এই তালিকার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘আমরা আজ নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত তথাকথিত গণকমিশনের করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই সংগঠনটি বরাবরের মতোই নিজেদের ইসলাম বিদ্বেষী চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। তাদের এই শ্বেতপত্র যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্যে ভরপুর, এটি সমগ্র দেশবাসীর সামনে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার।’ 

হেফাজত আমির বলেন, ‘শাহবাগী এই সংগঠন প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই নানাভাবে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। সর্বশেষ তারা দেশবরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ এবং ইসলামি আলোচকদের এ তালিকা প্রকাশ করে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশবরেণ্য ইসলামি আলোচকদের নামে অমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তথাকথিত গণকমিশনের দায়িত্বশীলরা নিজেদের গ্রহণযোগ্যতাই হারিয়েছে। বাস্তবতা বিবর্জিত এসব কথাবার্তা বলে নিজেদেরকে জাতির সামনে চরম উপহাসের পাত্রে পরিণত করেছে।’

উদ্বেগ প্রকাশ করে হেফাজত আমির বলেন, ‘এসব বানোয়াট বক্তব্যের কারণে দেশে চরম অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতএব, যারা এসব উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করছে, সরকার যেন তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করে। ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি ও আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজ সংস্কারের উত্তম মাধ্যম। এর মাধ্যমে মানুষকে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের পথ নির্দেশ করা হয়। সমাজের সব অনাচার, অন্যায় এবং ভুল থেকে মানুষকে বিরত রাখা হয়। ইসলামি আলোচকরা ধর্মের বিশুদ্ধ বার্তা মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বহুমুখী ত্যাগ করে থাকেন।’

আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘আজ দেশ ও জাতির জন্য পরম কল্যাণকর এ কাজটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তথাকথিত গণকমিশন। দুদকে এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে তারা দেশ-জাতি, সমাজ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রয়াস  চালাচ্ছে।  তারা আলেম উলামাদেরকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চক্রান্ত করছে। সরকার যদি এখনই শক্ত হাতে তথাকথিত এই  সংগঠনকে দমন না করে তাহলে ইসলাম প্রিয় আপামর  তৌহিদী জনতা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’