‘সাংসদ’ শব্দের ব্যবহার বন্ধে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে রিট

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সংসদ সদস্যদের (এমপি) নামের আগে সংক্ষেপে ‘সাংসদ’ শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ মে) মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এবং ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের রিটটি দায়ের করেন। তারা জানান, চলতি সপ্তাহে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সংসদ সদস্যদের (এমপি) নামের আগে ‘সাংসদ’ শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার ও ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের এই নোটিশ প্রেরণ করেন।

নোটিশে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সদস্যদের ‘সংসদ সদস্য’ হিসেবে অভিহিত করতে হবে। এটা সাংবিধানিক পদ। সংসদ সদস্যদের অন্য কোনও নামে সম্বোধন করা অসাংবিধানিক। কিন্তু দৈনিক প্রথম আলো দীর্ঘদিন ধরে ‘সংসদ সদস্য’ শব্দ ব্যবহার না করে ‘সাংসদ’ শব্দ ব্যবহার করে আসছে। এটি বাংলাদেশ সংবিধানের চরম লঙ্ঘন, অবমাননা এবং ধৃষ্টতা ছাড়া কিছু নয়।

সেই নোটিশের কোনও জবাব না পাওয়ায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।