অভিযোগ ভিত্তিহীন, দেশে ফিরতে চাই: পি কে হালদার

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) রিমান্ডে রয়েছেন। গ্রেফতারের পর শনিবার তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারকের নির্দেশে পি কে ও তার সহযোগীদের ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় ইডি। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার ফের তাদের কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করবে ইডি।

সোমবার পি কে হালদারকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। এসময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান কীনা?’ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেও পরে তিনি বলেন,‘আমি দেশে ফিরতে চাই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।’

ফের সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করেন,‘তাহলে বাংলাদেশ থেকে পালালেন কেন?’ এ প্রশ্নের উত্তর দেননি পি কে।

এদিকে জানা গিয়েছে, শুধু মাছের ভেড়ি নয়, কলকাতার লাগোয়া রাজারহাট-নিউটাউনে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন পি কে হালদার।  অশোকনগর যেখান থেকে পি কে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে শিবশঙ্কর নামে স্থানীয় মানুষজনের কাছে পরিচিত থাকলেও তার আসল নাম কোথাও গোপন করেননি পি কে। নিজের নামে সরাসরি কোনও সম্পত্তিও কেনেননি। রাজারহাট-নিউটাউন এলাকায় সমস্ত সম্পত্তি পি কে লিজ প্রোপার্টি হিসাবে নিজের দখলে রেখেছিলেন। নিজেকে ভাড়াটিয়া হিসাবেই দেখিয়ে এসব সম্পত্তি তিনি ভোগ-দখল করছিলেন। এ ধরনের সম্পত্তি পরিমাণ কত তার তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।