দুদকের মামলায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগে’ মামলা করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পাল্টা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ মে) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। দুদকের পক্ষে আদালতে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়। এরপর নাজমুল হুদার পক্ষে তার আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে, গত ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান অভিযোগ গঠন করেন। গত ৭ অক্টোবর অভিযোগপত্র অনুমোদন করে কমিশন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেওয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগ করে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন নাজমুল হুদা।

মামলার অভিযোগপত্রে সে সময় নাজমুল হুদা দাবি করেন, উচ্চ আদালতে ‘ডিসমিস’ করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ‘ডিসমিস’ করতে ২ কোটি টাকা এবং আরও আড়াই কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির অর্ধেক অর্থাৎ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন সিনহা। তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার এ অভিযোগের কোনও প্রমাণ পায়নি দুদক।

‘মিথ্যা অভিযোগ’ করায় গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। 

মামলার বিষয়ে দুদকের তৎকালীন সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছিলেন, ‘নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন, সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।’