একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে ভাস্কর্য প্রদর্শনী শুরু

‘গণহত্যা ১৯৭১: পঞ্চভাস্করের যাত্রা’ শীর্ষক ভাস্কর্য প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২০ মে) বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী কক্ষে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় প্রদর্শনীটির। গণহত্যা জাদুঘরের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী হাশেম খান এবং সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি মুনতাসীর মামুন।

ভাস্কর রেহানা ইয়াসিন, ভাস্কর রবিউল ইসলাম, ভাস্কর ফারজানা ইসলাম মিলকি, ভাস্কর মুক্তি ভৌমিক, ভাস্কর সিগমা হক অংকন গণহত্যা জাদুঘরের অধীনে পরিচালিত গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের ফেলোশিপের আওতায় ভাস্করগুলো নির্মাণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কে এম খালিদ বলেন, ভাস্কর্য কেবল সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ নয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বাহনও। মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে এই ভূখণ্ডের জনগণের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এই যুদ্ধ কেবল বিজয়ের ইতিহাস নয়, গণহত্যা ও নিপীড়নের ইতিহাসও। যুদ্ধকালীন নানা ঘটনা, গণহত্যা-নির্যাতন, নারী-নিপীড়ন ও মুক্তির আবেগ-অনুভূতিকে কেন্দ্র করে পাঁচজন ভাস্কর ভাস্কর্যগুলো নির্মাণ করেছেন। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি গণহত্যা জাদুঘরকে ধন্যবাদ জানান।ভাস্কর্যগুলো ঘুরে দেখছেন অতিথিরা

অনুষ্ঠানের সভাপতি মুনতাসীর মামুন পাঁচজন ভাস্করের কাজ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, 'পঞ্চভাস্কর নির্বস্তুকতার পথে হাঁটেননি, তারা এমন বিন্যাস বা গঠন বেছে নিয়েছেন যা দর্শকদের কাছে অচেনা ঠেকবে না। আমার মনে হয়েছে, প্রদর্শিত ৩০টি ভাস্কর্য দেখলে ১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতন-বেদনা মর্মে মর্মে অনুভব করবেন দর্শকরা।

আগামী ২৭ মে পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি চলবে।

উল্লেখ্য, গণহত্যার ইতিহাস সংরক্ষণ ও গবেষণা করার লক্ষ্যে গণহত্যা জাদুঘর ২০১৪ সালের ১৭ মে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণহত্যা জাদুঘর নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এরমধ্যে ভাস্কর্য প্রদর্শনী অন্যতম। ভাস্কর্য প্রদর্শনী উপলক্ষে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।IMG_20220520_164937