ডিজিটাইজ হলো পাঁচ কোটি ১৩ লাখ খতিয়ান

এ যাবত জমির ৫ কোটি ১৩ লাখ খতিয়ান ডিজিটাইজ করা হয়েছে। একটি মূল খতিয়ান থেকে পরে কতটি খতিয়ান তৈরি হয়েছে, তাও জানা যাবে ডিজিটাল সিস্টেম থেকে। এতে বোঝা যাবে মূল খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত জমি এবং মূল খতিয়ানের আওতাধীন অন্যান্য খতিয়ানের জমির পরিমাণের মধ্যে সামঞ্জস্য। এছাড়া খতিয়ান ডাটাবেজ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করা হলে একই জমি বারবার বিক্রি হওয়ার কোনও ধরনের সুযোগ থাকবে না। জাল দলিল তৈরিও রোধ হবে। এছাড়া কিউআর কোড দিয়েও দলিলের সঠিকতা এখন যাচাই করা যাচ্ছে।

রবিবার (২২ মে) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মৌজা ও প্লটভিত্তিক ‘ডিজিটাল ভূমি জোনিং’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব মৌজায় ডিজিটাল ও স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে মানচিত্র তৈরি করে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। গত ১২ মে মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের ক্রয় পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের এক লাখ ৩৮ হাজার ৪১২টি মৌজা ম্যাপ ডিজিটাইজ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই ডিজিটাইজ ম্যাপের সঙ্গে ক্রয়কৃত স্যাটেলাইট ভূমির ছবি সমন্ব করা হবে। এই প্রকল্প কার্যকর হলে কার্যকর ডিজিটাল ক্যাডাস্ট্রাল ম্যাপ তৈরি হবে। একটি ক্লিকেই দেখা যাবে জমির শ্রেণি কী এবং জমির মালিক কে। এছাড়া অল্প কিছুদিনের মধ্যে পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলায় ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ তথা ‘বিডিএস’ শুরু হবে, যা পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সম্প্রসারণ করা হবে। বিডিএস শেষ হলে বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ভূসম্পদ সংক্রান্ত জরিপ তথা ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে করার আর প্রয়োজন হবে না।

উল্লেখ্য, ‘ভূমি অফিসে না এসে ভূমিসেবা গ্রহণ করুন’ প্রতিপাদ্যে গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২২-এর উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত  শুভেচ্ছা বার্তার ভিডিও (রেকর্ডেড) প্রদর্শন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।