অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি: জায়েদ খান

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে ‘অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াই’ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। আপিল বিভাগে মামলার শুনানির দিন নির্ধারণের পর আদালত চত্বরে সোমবার (২৩ মে) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জায়েদ খান বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ জানে আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। অথচ লজ্জাহীনভাবে দখল করে চেয়ারে বসে আছেন নিপুণ। আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা থাকার পরও নিপুণ আদালতের আদেশ অমান্য করে চলেছেন। আমি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ কারণে জোর করে চেয়ার দখলের কোনও ইচ্ছে নেই আমার। আমি অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি।’

এর আগে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার অভিযোগে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে জায়েদ খানের করা আদালত অবমাননার মামলার শুনানির জন্য আগামী ৫ জুন দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। অন্যদিকে নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আকতার ১৬৩ ভোট এবং জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়েছিলেন। নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে নির্বাচনের পর শুরু হয় নানান নাটকীয়তা। নির্বাচনের এক সপ্তাহ পরে ৫ ফেব্রুয়ারি ‘নির্বাচনি আচরণবিধি’ ভঙ্গের অভিযোগ এনে জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থিতাই বাতিল করা হয়। ফলে তার পরিবর্তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চিত্রনায়িকা নিপুণকে এ পদে জয়ী দেখানো হয়।

এর দুদিন পরেই ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জায়েদ খান। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।