‘বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় সবুজ জ্বালানির প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় সবুজ জ্বালানির প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খসড়া এই মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণের নেট-শূন্য দৃশ্যকল্প পরিষ্কার হবে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায়ও বাংলাদেশ পরিষ্কার জ্বালানির রূপান্তরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) অনলাইনে পঞ্চম এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিলের মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।

যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল বিভাগের প্রতিমন্ত্রী গ্রেগ হ্যান্ডসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য অলোক শর্মা, নাইজেরিয়ার বিদ্যুৎমন্ত্রী গদি যেদি আগবা, মরক্কোর টেকসই উন্নয়নমন্ত্রী বেনালী , লাউসের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপমন্ত্রী সুফানউভং ও কেনিয়ার কেবিনেট সেক্রেটারি জুমা সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।   

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৭৮৮ দশমিক ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে  ৫৫৪ দশমিক ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ  সোলার হতে আসে । ২০২৫ সালের মধ্যে ২৮টি নির্মাণাধীন সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে আরও প্রায় ১৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ১২ ভাগ জনগণকে ৬ দশমিক ০২ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে পরিষ্কার বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। ছাদে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেট মিটারে সংযুক্ত রয়েছে। সৌর সেচ পাম্প ও ০ দশমিক ৩ মিলিয়ন সোলার স্ট্রিট লাইট রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবুজ জ্বালানির ব্যাপক প্রসারের জন্য কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে প্রয়োজন ব্যাপক বিনিয়োগ। এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল ও ক্লাইমেট ফান্ড সহযোগিতা করলে এ লক্ষ্যমাত্রাকে দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে।