উপবৃত্তির কথা বলে প্রতারণা, তিনজন আটক

উপবৃত্তি দেওয়ার কথা বলে মোবাইলফোনে ক্ষুদে বার্তা এবং ফোন দিয়ে শিক্ষার্থীদের অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার (২৫ মে) সকালে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, প্রতারকরা ক্ষুদে বার্তা দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের নামে শিক্ষার্থীদের কাছে ভুয়া মোবাইলফোন নাম্বার পাঠিয়ে দেয়। সেই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলে। সরলমনা শিক্ষার্থী বা অভিভাবক তাদের ফাঁদে পা দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। এসব ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে।

প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ফরিদপুরের মো. আশিকুর রহমানসহ (২৫) বেশ কয়েক যুবকের সংশ্লিষ্টতা পায় সিআইডি। ২৪ মে রাতে চক্রের মূলহোতো আশিকুরকে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অপর সদস্য মো. সাইফুল সর্দার (৩০) ও মোক্তার হোসেনকে (৩৪) ফরিদপুরদের ভাঙ্গা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, তারা প্রায় দুই-তিন বছর ধরে উপবৃত্তির নামে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর মোবাইলফোন নাম্বারে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। শিক্ষার্থীদের নম্বরে মেসেজ দিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। করোনার আগে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হলেও করোনাকালে বন্ধ রাখা হয়। এই সুযোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপবৃত্তির টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

পঞ্চম, অষ্টম এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তির তালিকা প্রণয়ন করা হয়। এসব টাকা স্থানীয় সরকারি অ্যাকাউন্টস অফিস (এজি অফিস) থেকে দেওয়া হয়।

চক্রটির প্রত্যেক সদস্য ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে। প্রথম সদস্য শিক্ষার্থীদের বিকাশের দোকানে টাকা পাঠানোর কথা বলে দোকানে অবস্থান নেয়। কৌশলে বিকাশ গ্রাহকের লেনদেনের খাতার ছবি তুলে নেয়। ওই ছবি দ্বিতীয় সদস্যের কাছে পাঠিয়ে দেয় বলেও জানান মুক্তা ধর।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রুনা খাতুন (৩৭) নামে এক নারী গত ২৩ মে ডিএমপি’র লালবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন।